চন্দনপুর গ্রামে বাস করতেন এক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত। স্বগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে তাঁর বহু শিষ্য ছিল। শিষ্যরা তাঁকে গুরুদেব বলে ডাকত। তাই সবার কাছে তিনি এই নামেই পরিচিত ছিলেন।
একদিন গুরুদেব ঠিক করলেন, তিনি কয়েকটি দূরের গ্রামে শিষ্যবাড়ি পরিদর্শনে যাবেন। চন্দনপুরে তাঁর সদানন্দ নামে এক যুবক শিষ্য ছিল, যে ছিল পেশায় চাষী। সদানন্দের দুটি ভালো বলদ, একটি গো-গাড়ি এবং টপ্পর (ঢাকা বা আচ্ছাদন) ছিল। গুরুদেব সদানন্দকে ডেকে বললেন, "তোমাকে আমার গাড়িতে করে শিষ্যবাড়ি নিয়ে যেতে হবে।"
সদানন্দ রাজি হলো, তবে একটি শর্ত দিল: "নিয়ে যাব, তবে পথে যা দেখব, তার অর্থ আপনাকে বলে দিতে হবে!" গুরুদেব হেসে বললেন, "বেশ, তাই হবে।"
পরের দিন, যাত্রার আগের সন্ধ্যায় সদানন্দ গাড়ি প্রস্তুত করল। গাড়ির ওপর টপ্পর চাপিয়ে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধল। টপ্পরের নিচে, গাড়ির ওপর লম্বা করে খড় বিছিয়ে তার উপর কম্বল পেতে দিল। সে বস্তায় ভরে নিল গবাদি পশুর খাদ্য (ছানি), সাঙ্গালে রাখল দা, রুদখুলি ইত্যাদি। ছোট খুঁতিতে রাখা হলো খৈল। গরুর খাবার পাত্র এবং জল তোলার ছোট বালতি গাড়ির নীচে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে দিল। একটি লণ্ঠনে তেল ভরে সেটিও গাড়ির নীচে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো।
সন্ধ্যা নামতেই গুরুদেব গাড়িতে উঠলেন, আর সদানন্দ গাড়ি ছেড়ে দিল। গাড়ি চলতে শুরু করল। চন্দনপুর থেকে গাড়ি পশ্চিম দিকে মেঠো পথ ধরে অজয় নদী, রসুই, তেওড়া, বাকলশা, গণফুল, ভাণ্ডারগড়িয়া, নপাড়া, বিশ্রামতলা পেরিয়ে এগিয়ে চলল। পথে পড়ল বাঁকুই-বাঁশড়া, তিলডাঙ্গা, ভবানীবেড়া, শাইলোর ডাঙ্গা-পাড়। তারপর শামুক শেহাল পার হয়ে এক বাদশাহী সড়কের মোড়ে এসে পৌঁছাল। ততক্ষণে ভোর হয়ে গিয়েছে, সব কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
গুরুদেব গাড়ি থেকে নেমে মোড়ে পড়ে থাকা দুটো মড়ার মাথায় লাথি মেরে, পুকুরঘাটে পা ধুয়ে আবার গাড়িতে উঠলেন।
সদানন্দ কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করল: "গুরুদেব, মড়ার মাথা দুটোয় লাথি মারলেন কেন?"
গুরুদেব প্রথমে এড়িয়ে যেতে চাইলেন: "ও কিছু না, এমনিই।"
সদানন্দ দৃঢ়ভাবে বলল: "আপনাকে বলতেই হবে। নয়তো আমি এখান থেকেই গাড়ি চন্দনপুরের দিকে ঘুরিয়ে দেব।"
গুরুদেব আর দ্বিধা না করে বললেন, "আচ্ছা শোনো তবে।"
গুরুদেব শুরু করলেন: "কমলগড়ের রাজা ছিলেন নিঃসন্তান। তাঁর একমাত্র রানি ছিলেন অমলাবতী। রানির সেবার জন্য এক দাসী ছিল। দাসী সারাদিন রাজবাড়িতেই থাকত এবং সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করত। একদিন সকালে রাজ-অন্তঃপুর থেকে রাজার কাছে খবর গেল, দাসী কাজে আসেনি। রাজা মন্ত্রীকে দাসীর খোঁজ নিতে পাঠালেন। মন্ত্রী দাসীর বাড়িতে গিয়ে দেখেন, দাসী উনুন জ্বেলে রান্না করছে।"
মন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, "কিরে, তুই উনুন জ্বেলে রান্না করছিস? তুই তো রাজবাড়িতেই খাস।"
দাসী উত্তর দিল: "মন্ত্রীমশায়, রাজা-রানি আঁটকুড়ো-আঁটকুড়ি (নিঃসন্তান)। ওদের মুখ দেখলে দিন ভালো যায় না, তাই রান্না করে খেয়ে তবে যাব।"
মন্ত্রী অবাক হলেন: "রাজা-রানিকে তুই আঁটকুড়ো বলছিস? সাহস তো কম নয়!"
দাসী বলল: "আঁটকুড়োকে আঁটকুড়ো বলব, তাতে আর ভয়ের কী আছে?"
মন্ত্রী কথা না বাড়িয়ে রাজাকে সব জানালেন। রাজার সন্তান না হওয়ায় এমনিতেই তিনি খুব দুঃখিত ছিলেন। মন্ত্রীরও কোনো সন্তান ছিল না। রাজা আর মন্ত্রী একসঙ্গে পরামর্শ করে দুঃখের ভার নিয়ে নিকটবর্তী গভীর বনে চলে গেলেন।
বনপথে চলতে চলতে তাঁদের সঙ্গে দেখা হলো এক সন্ন্যাসীর। সন্ন্যাসী তাঁদের দুজনকে ডেকে কাছে বসালেন। রাজা-মন্ত্রী তাঁদের দুঃখের কথা সন্ন্যাসীকে জানালেন। সব শুনে সন্ন্যাসী রাজার হাতে একটি লাঠি দিলেন। তারপর একটি মরা গাছ দেখিয়ে বললেন, "ঐ মরা গাছে লাঠির বাড়ি মারো। মারলেই একটি কাঁচা আম পাবে। আমটা নিয়ে এসো আমার কাছে।"
সন্ন্যাসীর কথামতো রাজা মরা গাছে লাঠির বাড়ি মারতেই একটি কাঁচা আম পেলেন। সেই আম তিনি সন্ন্যাসীর হাতে দিলেন। সন্ন্যাসী আমটা দু'ভাগ করে এক ভাগ দিলেন রাজাকে, আর অন্য ভাগ দিলেন মন্ত্রীকে। এরপর রাজ্যে ফিরে যেতে বললেন। তিনি আরও বললেন, "যদি তোমাদের দুজনের সন্তান হয়, তবে বন্ধু পাতাবে। যদি দুজনারই পুত্র হয়, তবে শৈশবেই তাদের বিয়ে দেবে একই বয়সের কন্যার সাথে। আর একবার তাদের বিয়ে দিতে হবে যুবক হলে।"
রাজা ও মন্ত্রী রাজ্যে ফিরে গেলেন। এক বছর পূর্ণ হতে না হতেই তাঁদের ঘরে দুটি পুত্রসন্তান এলো। অন্য দেশের এক শিশু রাজকন্যার সঙ্গে রাজপুত্রের এবং আরেক দেশের এক মন্ত্রীর শিশুকন্যার সঙ্গে মন্ত্রীপুত্রের বিয়ে দেওয়া হলো।
ক্রমে যখন তাঁরা যুবক হলেন, তখন যুবক রাজপুত্রের বিয়ে দেওয়া হলো অন্য এক দেশের রাজকন্যার সঙ্গে, যাঁর নাম ছিল কমলা।
একদিন রাজপুত্র তাঁর বন্ধু মন্ত্রীপুত্রকে বলল, "শিশুকালে আমাদের যেখানে বিয়ে হয়েছিল, সেই দিককার কোনো খবর জানি না। চলো, একবার সেখান থেকে ঘুরে আসি।" মন্ত্রীপুত্র রাজি হলো।
ঠিক হলো, প্রথমে রাজপুত্রের শ্বশুরবাড়ি এবং পরে মন্ত্রীপুত্রের শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হবে। তারপর একদিন দুই বন্ধু রাজপুত্রের প্রথম শ্বশুরবাড়িতে হাজির হলেন। রাজা খুব খুশি হলেন, কারণ জামাই অনেক দিন পর এসেছে। মেয়ে এখন যুবতী হয়েছে। খুব আদর-যত্ন হলো।
রাতে একসঙ্গে শোবার ব্যবস্থা হলে রাজপুত্র বললেন, "আজ রাতে আমি বন্ধুকে নিয়ে রাজকন্যাসহ একই ঘরে থাকব।" রাজকন্যা প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। শেষে ঠিক হলো: ঘরের একদিকে দুটি খাট পাতা থাকবে, এক খাটে রাজপুত্র ও অন্য খাটে মন্ত্রীপুত্র থাকবে। অন্য পাশে আর একটি খাটে থাকবে রাজকন্যা। সকলে একসঙ্গে ঘরে শুয়ে পড়ল। ক্লান্ত রাজপুত্র দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ল।
মন্ত্রীপুত্র তখন ঘুমের ভান করে শুয়ে রইল। রাত গভীর হলে রাজকন্যা দুজনকে পরীক্ষা করে দেখল—ওরা ঘুমিয়েছে। তখন সে একটি আলমারি খুলে একটি বড় বার্গী থালা বের করল। সেই থালায় সাজানো ছিল অনেক ভালো ভালো খাবার। এরপর দেওয়ালের একটি বিশেষ স্থানে চাপ দিতেই মেঝের একপাশ ফাঁক হয়ে গেল এবং একটি সুড়ঙ্গ পথ দেখা গেল। মন্ত্রীপুত্র শুয়ে শুয়ে সব দেখল।
কন্যা এক হাতে খাবার আর অন্য হাতে একটা বাতি নিয়ে সুড়ঙ্গ পথে চলে গেল। মন্ত্রীপুত্র চট করে উঠে সেই সুড়ঙ্গ পথে চলতে লাগল। দেখল, সুড়ঙ্গ পথটি একটি বাগানে গিয়ে শেষ হয়েছে।
সুড়ঙ্গ থেকে মন্ত্রীপুত্র দেখল, রাজকন্যা বাগানের মালীর সঙ্গে কথা বলছে। মালী রাজকন্যাকে গালাগালি দিচ্ছে এবং বলছে, "আজ এত দেরি কেন?"
রাজকন্যা বলল, "আমার স্বামী আর তার বন্ধু এসেছেন, তাই আসতে দেরি হলো।"
মালী তখন জিজ্ঞেস করল, "তারা না ঘুমালে, তুই কাকে বেশি ভালোবাসিস—আমাকে না তোর স্বামীকে?"
রাজকন্যা উত্তর দিল, "তোমাকে।"
তখন মালী তার হাতে একটি তলোয়ার দিয়ে বলল, "এই তলোয়ার নিয়ে তোর স্বামীকে কেটে আয়, তবে জানব আমাকে ভালোবাসিস।"
এই কথা শুনে মন্ত্রীপুত্র দ্রুত সুড়ঙ্গ পথে এসে নিজের বিছানায় শুয়ে পড়ল।
এদিকে রাজকন্যা ঘরে ফিরে এসে এক কোপে রাজপুত্রের মাথা কেটে ফেলল এবং সুড়ঙ্গ পথে গিয়ে মালীকে জানাল। মন্ত্রীপুত্রও সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গেল। হত্যার কথা শুনে মালী ভয় পেয়ে গেল। সে বলল, "সকাল হলে রাজাকে বলবি, মন্ত্রীপুত্র আমার চরিত্র হনন করতে এসেছিল। ঘুম থেকে রাজপুত্র বাধা দিতে এলে মন্ত্রীপুত্র তাকে হত্যা করে।" মন্ত্রীপুত্র সব শুনে আবার বিছানায় শুয়ে পড়ল।
ঘুমিয়ে আছে মনে করে রাজকন্যা মন্ত্রীপুত্রের হাতে রক্ত মাখিয়ে দিল। মন্ত্রীপুত্র কিছু বলল না। সকালে রাজকন্যা কাঁদতে লাগল ও মালীর শেখানো কথাগুলো বলতে লাগল। কান্না শুনে রাজা-রানি, পাত্র-মিত্র সবাই এসে হাজির হলো।
ছিন্নমস্তক রাজপুত্রের দশা দেখে সকলে দুঃখিত হলো। সবাই মন্ত্রীপুত্রকে ধরে নিয়ে গেল। বিচার করে মন্ত্রীপুত্রের প্রাণদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো।
মন্ত্রীপুত্র বলল, "আমার বন্ধু যখন মরেছে, তখন আমিও মরতে চাই। তবে মরার আগে আপনাদের আমি একটি মজার জিনিস দেখাব, আপনারা দেখতে চান কিনা?"
সকলে বলল, "হ্যাঁ, দেখব।"
মন্ত্রীপুত্র তখন রাজা, রানি, পাত্র, মিত্র ও রাজকন্যাকে নিয়ে গেল সেই ঘরে, যে ঘরে গত রাতে তারা শুয়ে ছিল। ঘরে ঢুকে মন্ত্রীপুত্র দেওয়ালে চাপ দিল, সুড়ঙ্গ বের হলো। সুড়ঙ্গ পথে সবাইকে নিয়ে গেল। সকলে দেখল, সুড়ঙ্গ পথে রক্ত পড়ে আছে। সুড়ঙ্গ বাগানে গিয়ে শেষ হলো। সেখানে দেখা গেল রক্ত, আর বার্গী থালায় ভালো ভালো খাবার, আর খোলা ঘরে শুয়ে আছে মালী।
রাজা মালীকে কর্কশ স্বরে এসবের কারণ জিজ্ঞেস করলেন। ভয়ে মালী সব বলে দিল। রাজকন্যাও সব স্বীকার করল। রাজা মন্ত্রীপুত্রকে ছেড়ে দিলেন।
মন্ত্রীপুত্র বন্ধুর দেহটি একটি বড় ঝোলায় ভরে নিয়ে গেল। তারপর তার নিজের শ্বশুর গাঁয়ে ঢোকার মুখে একটি পাকুড় গাছে মৃত দেহটি বেঁধে রেখে গেল এবং নিজে শ্বশুরবাড়ি গেল।
শ্বশুরবাড়িতে যেতেই মন্ত্রীপুত্র খুব আদর-যত্ন পেল। তার স্ত্রী যুবতী ও সুন্দরী, তবে একটু গম্ভীর। মেয়ে-জামাই এক ঘরে শুয়ে পড়ল। মন্ত্রীপুত্র ঘুমের ভান করে পড়ে রইল। সে ভাবল, 'এ কী করে দেখা যাক।'
নিশি ভোর রাতে কন্যা উঠল এবং দেখল স্বামী ঘুমন্ত। তারপর কাঁখে একটি মাটির কলসী নিয়ে সে চলে গেল গ্রামের শেষে নদীর ধারের শ্মশানে। মন্ত্রীপুত্রও পিছু পিছু গেল।
মন্ত্রীপুত্র দেখল, তার স্ত্রী কালীমন্দিরে ঢুকে পূজা করছে। পূজা শেষে যখন সে মুখ ফিরিয়েছে, তখন দেখতে পেল স্বামীকে। জিজ্ঞেস করল, "তুমি এখানে?"
তখন মন্ত্রীপুত্র তার বন্ধু রাজপুত্র, তার প্রথম স্ত্রী এবং তার পরিণামের সব কথা জানাল।
মন্ত্রীকন্যা বলল, "দুই দিন পর অমাবস্যা। ঐ দিন আমি রাজপুত্রকে বাঁচিয়ে দেব। ঐ দিন তুমি রাজপুত্রের মৃতদেহ এখানে এনে উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমি বলব, তবে ঘুরবে। নচেৎ হিতে বিপরীত হবে।"
তাই হলো। অমাবস্যা রাতে রাজপুত্রের মৃতদেহ এনে কালীমন্দিরের সামনে রাখল মন্ত্রীপুত্র। তারপর পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে থাকল। মন্ত্রীকন্যা উলঙ্গ হয়ে নদী থেকে জল এনে মা কালীর সামনে অনেক মন্ত্র পড়ল। তারপর সেই জল রাজপুত্রের গায়ে ছিটিয়ে দিল। তারপর মাথার চুল খুলে উলঙ্গ হয়ে মৃতের চারিপাশে নাচতে লাগল। এই সময় ঝড় উঠল, কিছু বৃষ্টিও হলো। কন্যা মন্দিরে ঢুকে কাপড় পরল।
রাজপুত্র আড়িমুড়ি ছেড়ে উঠে বসল!
কন্যা তখন তার স্বামীকে ডাকল। স্বামী ঘুরে দেখে রাজপুত্র বেঁচে উঠেছে। তখন মন্ত্রীপুত্র বন্ধুকে জড়িয়ে ধরল। রাজপুত্র জেগে উঠে জিজ্ঞাসা করল, "এখানে কেন?" মন্ত্রীপুত্র তখন রাজপুত্রকে সব খুলে বলল। তারপর মন্ত্রীপুত্রের শ্বশুরবাড়িতে দু'একদিন থেকে তারা বাড়ি ফিরল।
বাড়িতে ফিরে রাজপুত্র কারো সঙ্গে কথা বলে না। মেয়েদের প্রতি তাঁর বিতৃষ্ণা জন্মালো। এদিকে সতী কমলা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি এসেছেন। কিন্তু তাঁর স্নেহ, ভালোবাসা, সেবা স্বামীর মন জয় করতে পারল না।
কিছুদিন পর রাজপুত্র ঠিক করল সে নৌকা পথে ভ্রমণে যাবে। একটি ভালো নৌকা সাজানো হলো। তারপর একদিন মন্ত্রীপুত্রকে না জানিয়ে রাজপুত্র নৌপথে পাড়ি দিল। যাবার আগে সতী কমলা একটি কনকচাঁপার মালা গেঁথে স্বামীর গলায় পরিয়ে দিয়ে বললেন: "আমি যতদিন সতী থাকব, ততদিন এই মালা অটুট থাকবে। ফুল শুকাবে না বা ঝরবে না।" রাজপুত্র ভেসে চলল। এইভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল।
প্রথম পর্ব সমাপ্ত
