এক দেশে ছিল এক রাজা। তাঁর রাজ্যের নাম এবং রাজধানীর নামও ছিল দেউলগড়। দেউলগড়ের রাজার ছিল দুই পুত্র। তাঁরা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি বুদ্ধিমান।
একদিন রাজা তাঁর বাগানে বেড়াতে বেড়াতে ভাবলেন, "এই বিশাল রাজ্য, এই সম্পদ—সবই আমার। আমার লোক-লস্কর, উজির-নাজির, দাস-দাসী, এমনকি আমার স্ত্রী-পুত্রও আমার রাজ্যের উৎপন্ন শস্য খায়। এ সব আমি ভাগ্যবলে পেয়েছি। তাহলে সকলেই আমার ভাগ্যে খায়।"
রাজা একে একে তাঁর রাজ্যের সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগলেন, "তোমরা কার ভাগ্যে খাও?"
সকলেই রাজাকে ভালোবাসত এবং তাঁকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য বলল, "মহারাজ, আমরা আপনার ভাগ্যে খাই।" রাজা শুনে খুব খুশি হলেন।
রাজার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম ছিল ভাগ্যধর। রাজা তাকেও একই প্রশ্ন করলেন, "তুমি আমার ভাগ্যে, না নিজের ভাগ্যে? কার ভাগ্যে খাও?"
ভাগ্যধর দ্বিধা না করে উত্তর দিল:
"কে কার ভাগ্যে খায়।
নিজের ভাগ্যে নিজে খায়।"
ভাগ্যধরের কথা শুনে রাজা রাগে ও দুঃখে ফেটে পড়লেন। তিনি ভাগ্যধরকে বললেন, "দেখি, তুমি কেমন নিজের ভাগ্যে খাও!"
এরপর তিনি ভাগ্যধরকে একটা বড় লোহার খাঁচায় পুরে, খাঁচার মুখ বন্ধ করে কুলুপ লাগিয়ে দিলেন। তারপর খাঁচাটি একটা বড় বাঁশে ঝুলিয়ে কয়েকজন লোক দিয়ে গভীর বনের এক পথের ধারে রেখে চলে এলেন। অসহায় ভাগ্যধর নিজের ভাগ্যের কথা ভেবে সেই খাঁচার মধ্যে রইলেন।
দিন শেষ হয়ে সূর্য অস্ত যায় যায়—এমন গোধূলি বেলায় ভাগ্যধর দ্রুতগামী ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনতে পেলেন। ভাগ্যধর ভাবলেন, তাঁর বাবার রাগ পড়েছে, নিশ্চয় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছে।
কিন্তু ঘোড়া যখন খাঁচার নিকট এলো, তখন ভাগ্যধর দেখলেন—রাজবেশ পরা একজন লোক। খাঁচার মধ্যে একজন যুবককে দেখে ঘোড়ার রাশ টেনে রাজপুরুষও দাঁড়ালেন। খাঁচাবন্দী ভাগ্যধরের মুখে সব শুনে, সেই রাজপুরুষ খাঁচার কুলুপ ভেঙে, খাঁচা হতে তাঁকে মুক্ত করলেন। তারপর নিজের ঘোড়ায় তাঁকে চাপিয়ে নিয়ে চলে গেলেন।
এই রাজবেশধারী ছিলেন অজয়গড়ের রাজা। তিনি ভাগ্যধরকে অজয়গড়ে নিয়ে গিয়ে সভাসদ করে রেখে দিলেন।
ভাগ্যধর সেখানে দুই বেশে থাকতেন। রাজসভায় যখন যেতেন, তখন ভালো পোশাক পরতেন। অন্য সময় থাকতেন খুব গরিবের বেশে।
অজয়গড়ের রাজার একটি সুন্দরী কন্যা ছিল, নাম লীলাবতী। একদিন লীলাবতী ভ্রমণে যাওয়ার সময় গরিব ভাগ্যধরকে দেখলেন ও তাঁকে নিজের চাকর নিযুক্ত করলেন। এর জন্য রাজকন্যা তাঁকে মাসে কিছু টাকা দিতেন। এইভাবে তিনি রাজার সভাসদ ও রাজকন্যার চাকর হয়ে অবস্থান করতে লাগলেন।
রাজকন্যার এক যুবক শিক্ষকের সঙ্গে রাজকন্যার ভালোবাসা গড়ে উঠল। তাঁরা ঠিক করলেন, সোনা-দানা, গহনাগাঁটি নিয়ে নৌকাযোগে অন্য রাজ্যে গিয়ে বিয়ে করে বসবাস করবেন।
ভাগ্যধর সব জানতে পারলেন। ধনরত্ন, সোনাদানা, গহনাগাঁটি, টাকাকড়ি সব ঠিক করে রাজকন্যা সেই শিক্ষককে একটি চিঠি দিলেন ভাগ্যধরের হাতে। কন্যা লিখলেন:
এই পত্র পড়ে তুমি ভালো একটি নৌকা ও ভালো চারজন মাঝি ঠিক করে নদীর ঘাটে রাখবে। আমি সন্ধ্যায় গিয়ে নৌকায় চাপবো। ইতি— লীলাবতী
ভাগ্যধর পত্রটি পড়ে সেটি নিজের কাছে রাখলেন এবং নিজে একটি পত্র লিখলেন:
এই পত্র পাঠমাত্র তুমি দেউলনগর ছেড়ে চলে যাবে। কারণ আমাদের প্রেমের কথা রাজা জানতে পেরেছে। তুমি এখানে থাকলে, তোমার প্রাণদণ্ড দেওয়া হবে। ইতি— লীলাবতী
চিঠি পেয়ে প্রাণের ভয়ে শিক্ষকটি চম্পট দিলেন।
এদিকে ভাগ্যধর একটি ভালো নৌকা, দু'তিন জন মাঝি নিয়ে, নৌকাটি ঘাটে লাগিয়ে কাপড় মুড়ি দিয়ে বসে রইলেন। একটু মুখ আঁধারি হলে লীলাবতী সব নিয়ে নৌকার কাছে এলেন। সব ঠিক আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ভাগ্যধর ইশারায় বললেন, 'সব ঠিক।'
লীলাবতী নৌকায় চেপে মাঝিকে নৌকা ছেড়ে দিতে বললেন। নৌকা স্রোতের অনুকূলে ভাসিয়ে নিয়ে চলল মাঝিরা।
সকাল হলে তাঁরা অন্য একটি রাজ্যে এসে পৌঁছালেন। একটু পর লীলাবতী বুঝতে পারলেন—শিক্ষক নয়, এসেছে ভাগ্যধর, সেই চাকরটা। চাকরটার সাহস দেখে খুব রেগে গেলেন রাজকন্যা। সেই রাজ্যে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে লীলাবতী বাস করতে লাগলেন। ভাগ্যধর চাকরের মতো তাঁর কাছে থাকতে লাগলেন।
ভাগ্যধর সেই রাজ্যের রাজার দরবারে গেলেন এবং সভাসদ হিসেবে চাকরি নিলেন। লীলাবতীর নিকট থাকেন চাকর হয়ে, আর রাজবাড়িতে রাজার নিকট থাকেন সভাসদ হয়ে।
একদিন রাজা ভাগ্যধরকে নিয়ে শিকারে গেলেন। শিকার শেষ হলে ফেরার পথে একটি সুন্দর স্বর্ণচাঁপা ফুল কুড়িয়ে পেলেন। ফুলটির যেমন গন্ধ, তেমনি বর্ণ। ফুলটি ভাগ্যধর রাজার হাতে তুলে দিলেন।
ফুল পেয়ে রাজা আনন্দিত। কিন্তু ফুলটি তিনি কাকে দেবেন? রানিকে, রাজকন্যাকে না রাজপুত্রকে? সমস্যায় পড়লেন রাজা। ভাগ্যধর বললেন, "মহারাজ, এই ফুলটি দিন আপনি আপনার কন্যাকে। কারণ সে সবার ছোট।" তাই হলো। ভাগ্যধরের কথামত সুগন্ধি স্বর্ণচাঁপাটি রাজা তাঁর প্রিয় কন্যা ললিতার হাতে দিলেন।
এই প্রকার সুন্দর ফুল পেয়ে কন্যা খুব খুশি হলেন। কন্যা পিতাকে বললেন, "বাবা, এই রকম একশো একটি ফুল আমার দরকার। এই ফুল দিয়ে আমি শিব পূজা করব।" রাজা এই কথা শুনে একশো একটি ফুল আনার ভার ভাগ্যধরের ওপর দিলেন।
যে বনে ঐ একটি ফুল পাওয়া গিয়েছিল, সেই বনে ফুলের খোঁজে গেলেন ভাগ্যধর। গভীর বন। সারাদিন খুঁজে কোনো স্বর্ণচাঁপা গাছের সন্ধান পেলেন না। এদিকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। বন হতে বেরিয়ে যাওয়া মুশকিল। তাই বনের মধ্যে একটা গাছের ওপর রাত কাটাতে মনস্থ করলেন।
এই বনের মধ্যে ছিল একটি বিরাট বটগাছ। তার গোড়াটা চৌকো করে মাটি দিয়ে বেদি করা। সেই গাছে উঠে একটা মোটা ডালে বসে থাকলেন ভাগ্যধর।
রাত যখন একটু ভারী হলো, তখন বনে এলো একদল ডাকাত। ডাকাত দলের সঙ্গে ছিল তাদের রানি চম্পাবতী। চম্পাবতী ঐ বটগাছের নিচের বেদিতে তাঁর ইষ্টদেবতা শিবের পূজা দিলেন। পূজা শেষ হলে তাঁর ইষ্টদেবতা তাঁকে বললেন, "এই বনের মধ্যে গাছে লুকিয়ে আছে তোর স্বামী, তাকে বিয়ে কর। তাহলে তোর বাসনা পূর্ণ হবে।"
ডাকাতদল অনেক খোঁজ করে বটগাছ হতে ভাগ্যধরকে নামাল ও তাঁর সঙ্গে রানির বিয়ে দিল। তারপর তারা ভাগ্যধরকে একটা লোহার আংটি দিল। আর বলল, "বিপদে পড়লে এই আংটিতে চাপ দিলেই ডাকাতদল চলে আসবে ও ভাগ্যধরকে বিপদ হতে মুক্ত করবে।"
ভাগ্যধর এই কন্যাকে এনে আলাদা একটা বাড়িতে রেখে দিলেন। লীলাবতী এ খবর জানতে পারল না।
পথে আসতে আসতে এই কন্যা যেই একটু হেসেছে, অমনি তাঁর মুখ হতে ঝরতে লাগল চাঁপা ফুল। এইভাবে একশো একটি চম্পক ফুল সংগ্রহ করে তিনি রাজকন্যা ললিতাকে দিলেন। হাসলে ফুল ঝরে, তাই কন্যার নাম হয়েছিল চম্পাবতী। রাজকন্যা এই ফুল দিয়ে শিবের পূজা করলেন। ফুল এনে দেওয়ার জন্য রাজা ভাগ্যধরকে খুব ভালোবাসতে লাগলেন।
রাজার যে একটা পুত্র ছিল, সে ভাবল—রাজা যেভাবে ভাগ্যধরকে ভালোবাসছেন, তাতে কোনোদিন তাঁকেই রাজা রাজ্য দিয়ে দেবেন। সে চিন্তা করতে লাগল, কীভাবে ভাগ্যধরকে জব্দ করা যায়।
রাজপুত্রের বন্ধু-বান্ধব সকলে পরামর্শ দিল: "রাজপুত্র! অসুস্থতার ভান করে বিছানায় শুয়ে থাকবে। রাজা দেখতে এলে বলবে, আমার খুব অসুখ। আমাকে এক দেবতা স্বপ্নে দিয়েছে—একশো একটি নীলপদ্ম আনতে হবে, আর সেই ফুলের মালা গেঁথে গলায় পরলে অসুখ ভালো হবে।" তারা ভাবল, রাজা এই ফুল আনতে ভাগ্যধরকে পাঠাবে, ভাগ্যধর আনতে পারবে না, জব্দ হবে।
যাইহোক, রাজপুত্রের অসুখ শুনে রাজা এলেন। সব শুনে তিনি ভাগ্যধরকে পাঠালেন পুত্রের জন্য একশোটি নীলপদ্ম আনতে। ভাগ্যধর কী আর করেন! চলে গেলেন নীলপদ্মের খোঁজে।
রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল একটি গভীর বন। সেই বনে ছিল এক বৃহৎ সরোবর। সেখানে নাকি নীলপদ্ম ফোটে। এই খবর পেয়ে ভাগ্যধর নীলপদ্মের খোঁজে সেই বনে প্রবেশ করলেন।
খুঁজতে খুঁজতে তিনি সেই সরোবরের তীরে হাজির হলেন। সেই সরোবরের চারিপাশে খুঁজে তার জলে একটিও নীলপদ্ম পেলেন না। সরোবরের পূর্বতীরে ছিল একটা বিরাট বটগাছ। তার বেদিটা লাল মাটি দিয়ে সুন্দর করে গোল করে বাঁধানো। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। বন হতে এই সন্ধ্যায় বের হওয়া মুশকিল। তাই সেই বটগাছে উঠে একটি মোটা ডালে বসে থাকলেন রাত কাটানোর জন্য।
রাত যখন গভীর হলো, তখন একপাল হাতি এলো সেই বটবৃক্ষের তলে। একটি ভালো হাতির পিঠে চেপে আছে এক সুন্দরী। সুন্দরী নামলেন সেই বটতলে। হাতিরা সরোবরে নেমে স্নান করল। তারপর এসে বটতলে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকল। মেয়েটি বটতলে পূজা দিলেন তাঁর ইষ্টদেবতাকে।
পূজা শেষ হলে তাঁর ইষ্টদেবতা তাঁকে বললেন, "এই বনে এই গাছের ডালে বসে আছে তোর হবু পতি। তাকে বিয়ে কর।"
হাতিরা তখন ভাগ্যধরকে গাছ হতে নামাল ও তাদের রানির সঙ্গে ভাগ্যধরের বিবাহ দিল। হাতির সর্দার ভাগ্যধরের হাতে দিল একটা তামার আংটি। তারপর বলল, "বিপদে পড়লে এই আংটিতে ঘষা দিলেই চলে আসব আমরা, আর বিপদ হতে উদ্ধার করব।"
এই কন্যার নাম পদ্মাবতী। পদ্মাবতী যত চুল ঝাড়েন, তত নীলপদ্ম ঝরে। একশোটি হলে, তা নিয়ে তিনি এলেন রাজার কাছে। রাজা ফুল পেয়ে খুব আনন্দিত হলেন। রাজপুত্রের এই ষড়যন্ত্র কোনো কাজে লাগল না।
চম্পাবতী ও পদ্মাবতীকে ভাগ্যধর একই বাড়িতে রেখে দিলেন। আর তাদের দেখাশোনার জন্য ছিল এক নাতিনী। এই নাতিনী এদের চুল আঁচড়াত, ঝাঁমা দিয়ে পা ঘষে দিত, নখ কেটে দিত। এই নাতিনী আবার সেই লীলাবতীরও নখ কেটে দিত।
একদিন নাতিনী কথা প্রসঙ্গে ভাগ্যধরের দুই স্ত্রীর গুণ (হাসলে চাঁপা ফুল ঝরে, চুল ঝাড়লে নীলপদ্ম ঝরে) এবং ভাগ্যধর যে একজন রাজসভাসদ, তা বলে দিল। সব শুনে লীলাবতী ভুল বুঝতে পারলেন ও ভাগ্যধরকে বিয়ে করলেন।
কিছুদিন পর রাজকন্যা ললিতা ভাগ্যধরের সব কথা শুনে তাঁকে বিয়ে করতে চাইলেন। রাজা আনন্দে ভাগ্যধরের সঙ্গে ললিতার বিবাহ দিলেন।
ললিতার সঙ্গে যেই ভাগ্যধরের বিবাহ হলো, সেই সঙ্গে রাজপুত্রের মনে আশঙ্কা হলো—সে আর রাজ্য পাবে না। তাই সে ঠিক করল যে করেই হোক ভাগ্যধরকে বধ করবে এবং সেই সঙ্গে তিন সুন্দরী স্ত্রীকে বিবাহ করবে।
রাজপুত্র সভার আয়োজন করল। সুকৌশলে সে এক ভোজের খাদ্যে বিষ মাখিয়ে দিল। ভাগ্যধর ভোজে নিমন্ত্রিত হয়ে এক গ্রাস বিষ মাখানো খাবার খেতে খেতে ফেলে দিলেন ও ভালো করে মুখ ধুয়ে লোহার ও তামার আংটিতে ঘষা দিলেন।
সঙ্গে সঙ্গে হৈ হৈ করে ডাকাত দল ও হাতির দল চলে এলো। তারা সব শুনল এবং সর্দার হাতি শুঁড় দিয়ে রাজপুত্রকে তুলে ধরল। ভয় পেয়ে রাজপুত্র ভাগ্যধরের নিকট ক্ষমা চেয়ে কাকুতি মিনতি করল। ভাগ্যধর তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন।
তারপর ভাগ্যধর রাজার নিকট অনুমতি নিয়ে চার স্ত্রীর সঙ্গে পিতার রাজ্যে ফিরে গেলেন।
ফিরে এসে দেখেন, তাঁর পিতা রাজা দণ্ডধরের রাজ্য দেউলগড় অন্ধকার। অন্য এক রাজা তাঁদের রাজ্য অধিকার করে ফেলেছে। বন্দী হয়ে আছেন রাজা, রানি ও দাদা শশধর।
ভাগ্যধর লোহা ও তামার আংটিতে ঘষা দিতেই ডাকাত ও হাতির পাল চলে এলো। তাদের সাহায্যে ঐ রাজাকে পরাজিত করলেন ভাগ্যধর। তারপর পিতা-মাতা ও দাদাকে উদ্ধার করলেন।
দেউলগড়ের বৃদ্ধ রাজা বললেন, "কে বাবা তুমি! আমাকে বন্দীত্ব হতে মুক্ত করলে? তোমার মঙ্গল হোক!"
ভাগ্যধর বললেন, "পিতা, আমি ভাগ্যধর। ভাগ্যের বলে আমি এই চার স্ত্রী পেয়েছি ও রাজ্য উদ্ধার করেছি।"
রাজা পুত্রকে জড়িয়ে ধরলেন বুকে। আর তাঁর মাথায় পরিয়ে দিলেন রাজমুকুট
[ সংগৃহীত: মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার কাগ্রাম নিবাসী শ্রী অসীম কুমার ব্যানার্জীর নিকট হতে। ]
