সতী কমলা ২

সেরা ছোট গল্পের বই


পূর্ববর্তী পর্ব পড়ুন

কিছুদিন পর রাজপুত্র দেখতে পেলেন, নদীর দক্ষিণ তীরে সুন্দর একটি বাঁধানো ঘাট। রাজপুত্র মাঝিকে সেই ঘাটে নৌকা বাঁধতে বললেন। ঘাটে নেমে দেখলেন একটি ডঙ্কা ঝুলানো আছে। পাশে আছে ঘা মারার একটি দণ্ড। তার পাশে একটি চৌকো কাঠের ওপর কিছু কথা খোদাই করা আছে:

'এই দেশের রাজকন্যাকে, চার প্রহরে রাতে, যে চারবার কথা বলাতে পারবে, তার সঙ্গে রাজকন্যার বিবাহ দেওয়া হবে এবং অর্ধ রাজ্য দান করা হবে। আর না পারলে বন্দী হয়ে থাকতে হবে।'

এই 'লিখন' পড়ে রাজপুত্র ডঙ্কায় ঘা দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজবাড়ির লোকেরা তাঁকে সসম্মানে রাজবাড়ি নিয়ে গেল। তারপর রাতে শুরু হলো কথা বলানোর চেষ্টা। কিন্তু চার প্রহরে রাজপুত্র সেই রাজকন্যাকে একটিও কথা বলাতে পারলেন না। তাই তিনি বন্দী হলেন।

ঐ রাজকন্যা ডাকিনী বিদ্যা জানতেন। সেই বিদ্যার বলে তাঁর দেওয়া মালা দেখে তিনি বুঝতে পারলেন যে এই রাজপুত্রের স্ত্রী সতী। রাজপুত্রের গলার মালা অটুট থাকবে, যতদিন তাঁর সতীত্ব থাকবে। ঐ রাজকন্যা যে করেই হোক সতী কমলার চরিত্র নষ্ট করার চেষ্টা করতে লাগলেন।

ঐ রাজকন্যার এক মাসতুতো ভাই ছিল। তাকে অনেক টাকা দিয়ে সতী কমলার দেশে পাঠানো হলো, তার সতীত্ব নষ্ট করার জন্য। রাজকন্যার একটি অভিশাপ ছিল যে, কোনো দিন কোনো সতীকন্যা যদি ছদ্মবেশে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে আসে, তবে তাঁর পরাজয় ঘটবে। আর কমলার সতীত্ব নষ্ট হলে রাজপুত্রের গলার মালায় তা বোঝা যাবে।

ছেলেটি অনেক টাকা নিয়ে সতী কমলার দেশে গেল। গিয়ে কমলার এক দাসীর সঙ্গে আলাপ করল ও তাকে টাকা দিয়ে বশীভূত করল।

একদিন সতী কমলা নদীতে স্নানে যাচ্ছেন। ছেলেটি দাসীকে দিয়ে বলে পাঠাল, সতী কমলা যেন একবার স্নানের ঘাটে তার দিকে তাকায়। সকালে সতী কমলা স্নানে গেলেন। ছেলেটি ঘাটের পূর্বদিকে একটি পৈঠার উপর দাঁড়িয়ে থাকল। সতী স্নান শেষে একবার ছেলেটির দিকে তাকালেন, তারপর চলে গেলেন।

তারপর একদিন দাসীকে আরও কিছু টাকা দিয়ে বলল, "আমি অমুক স্থানে রাত্রি যাপন করি, কমলা যেন একদিন রাতে আমার বিছানায় আমার পাশে শোয়।" দাসী কমলাকে এই কথা বলল। কমলা বললেন, "বেশ, তাই হবে।" সেদিন রাতে সে একবার ছেলেটির পাশে শুয়ে এলো। ছেলেটি ঘুমিয়ে ছিল, জানতে পারল না। শোয়ার চিহ্নস্বরূপ সতী কমলা, তাঁর একটি মাথার কাঁটা বিছানায় রেখে গেলেন।

কয়দিন পর ছেলেটি আবার দাসীকে টাকা দিয়ে বলল, "আজ যেন সতী কমলা আমার হাতে একটা পান সেজে দেয়।" দাসী কমলাকে বলল। কমলা সেদিন ভালোভাবে একটি পান সেজে ছেলেটির হাতে দিলেন।

ঐ ছেলেটি দেশে ফিরে ডাকিনী-সিদ্ধ তার দিদিকে সব কথা বলল। দিদি কারাগারে গিয়ে রাজপুত্রের গলায় দেওয়া সতী কমলার মালা দেখল। মালা অটুট আছে। সে বলল, "না, সতী কমলার সতীত্ব নষ্ট হয়নি।"

সতী কমলার স্বামী অনেকদিন ঘরছাড়া। স্বামীর জন্য তিনি চিন্তিত। তাই তিনি তাঁর কয়েকজন সখীকে পুরুষ সাজালেন ও নিজে পুরুষের ছদ্মবেশ নিলেন। তারপর যেদিকে নৌকা নিয়ে তাঁর স্বামী গিয়েছেন, সেই দিকে গেলেন। কয়েকদিন নৌকা চালিয়ে তিনি এলেন ডাকিনী-সিদ্ধ রাজকন্যার ঘাটে।

দণ্ড ও কাঠের উপর লিখন দেখলেন। সেখানে নেমে তিনি ডঙ্কায় ঘা দিলেন। ঘাটের রাজকর্মচারীরা বলল, কথা বলাতে না পারার জন্য অনেক রাজকুমার এখানে বন্দী জীবন যাপন করছে। ছদ্মবেশী কমলা ডঙ্কায় ঘা দিলেন। রাজার লোকেরা সসম্মানে তাঁকে নিয়ে গেল।

রাতে ছদ্মবেশী কমলা রাজকন্যার সঙ্গে মুখোমুখি বসে বললেন, "আমি তোমাকে কথা বলাতে চাই না। আমি একটা গল্প বলব, সেই গল্পে কে দোষী তা তোমাকে বলতে হবে।"

এই বলে তিনি রাতের প্রথম প্রহরে একটি গল্প বললেন:

এক দেশে ছিল এক রাজপুত্র। তাঁর ছিল শক্তিশালী ও বিশ্বাসী একটি ঘোড়া, যা ছিল দ্রুতগামী এবং বুদ্ধিমান। একদিন রাজপুত্র তাঁর প্রিয় ঘোড়াটি নিয়ে বনে শিকারে গেলেন। সারা বন তোলপাড় করেও কোনো শিকার পেলেন না। সারা বন ঘুরে রাজপুত্র শ্রান্ত, ক্লান্ত ও পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন। জল কোথাও পেলেন না। শেষে কিছুদূর গিয়ে বনের ধারে দেখলেন একটি খেজুর গাছের গলা চাঁছা। সেই গলা দিয়ে দরদর করে খেজুরের রস পড়ছে। পিপাসার্ত রাজপুত্র সেই রস খেতে ঘোড়া থেকে নামতে গেলেন, অমনি ঘোড়াটি গাঝাড়া দিল। রাজপুত্র পড়ে গেলেন ও রেগে তলোয়ারের এক কোপে ঘোড়াটির মাথা কেটে ফেললেন। তারপর খেজুরের রস খেতে গিয়ে দেখেন—এক বিরাট সাপ খেজুর গাছের গলা জড়িয়ে আছে আর তার মুখ চাঁছা স্থানটার উপরে, তার বিষ চাঁছা গা বেয়ে পড়ছে। এই দেখে তিনি ঘোড়াটার জন্য হায় হায় করতে লাগলেন এবং তলোয়ার দিয়ে সাপটাকে কেটে ফেললেন।

ছদ্মবেশী কমলা প্রশ্ন করলেন, "এখানে দোষী কে? ঘোড়া, সাপ, না রাজপুত্র?"

রাজকন্যা বললেন, "দোষী ঐ রাজপুত্র। কারণ তাঁর সবকিছু ভালোভাবে দেখা উচিত ছিল।"

এইভাবে রাতের প্রথম প্রহর গেল।

রাতের দ্বিতীয় প্রহরে ছদ্মবেশী কমলা রাজকন্যাকে আর একটি গল্প বললেন:

এক গ্রামে ছিল এক গৃহস্থ। স্বামী, স্ত্রী ও একটি শিশুপুত্র নিয়ে তাঁদের সংসার। তাঁরা একটি বেজি পুষেছিলেন। বেজিটি সব সময় তাঁদের বাড়িতে থাকত। একদিন গৃহস্থ কাজে গিয়েছেন। শিশুটি দাওয়ার উপর একটা শীতল পাটিতে শুয়ে ঘুমোচ্ছে। বেজিটা শুয়ে আছে শিশুটির নিকটে। গৃহিণী গিয়েছেন পুকুরে স্নান করতে। ইতিমধ্যে একটি কেউটে সাপ দাওয়ার উপর দিয়ে যাচ্ছে, ছেলেটাকে কামড়াবে। বেজিটা সাপটার সঙ্গে লড়াই করে সাপটাকে কেটে ফেলল। সাপ কাটার রক্ত, খণ্ড খণ্ড সাপের দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ল ছেলেটির গায়ে। তাই বেজি গেল ঔষধ আনতে। বেজি ঔষধ নিয়ে ফিরছে। পথে গৃহিণীর সঙ্গে দেখা। গৃহিণী ভাবলেন, বেজির মুখে যখন রক্ত, তখন বেজি তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলেছে। তাই গৃহিণী বেজিটাকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন। বাড়ি এসে দেখেন—ছেলে ঘুমোচ্ছে, পাশে পড়ে আছে বেজির কাটা কেউটে সাপ। গৃহিণী খুব দুঃখ পেলেন। বেজির মুখের ভিতর সাপের ঔষধ ছিল। তারপর সেই ঔষধ বেটে ছেলেকে খাওয়ানো হলো। বেজিটার জন্য তাঁর মন দুঃখে ভারাক্রান্ত হলো।

প্রশ্ন: "এখানে দোষী কে? বেজি, সাপ, না গৃহিণী?"

রাজকন্যা: "গৃহিণী।"

এইভাবে দ্বিতীয় প্রহর শেষ হলো। তৃতীয় প্রহরে ছদ্মবেশী কমলা আর একটি গল্প শুরু করলেন:

ভাগীরথী নদীর তীরে কল্যাণপুর গ্রাম। এই গ্রামে বাস করে এক কামার পরিবার—পিতা, পুত্র ও নতুন পুত্রবধূ। কিছুদিন হলো কামারের স্ত্রী মারা গিয়েছেন, তাই ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। কামারের বাড়ি তার কিছু দূরেই মহাশ্মশান। বহু দূর-দূরান্ত হতে অনেক মরা এখানে পোড়াতে আনা হয়। একদিন সন্ধ্যারাত। নদীর ধারে শিয়াল ডাকছে। শিয়ালের ডাক শুনে পুত্রবধূ চলে গেল নদীর দিকে। রাতটা ছিল চামুচান্নি। কামার শাঁখাই (কর্মশালা) হতে বাড়ি ফিরছেন। নদীর ধারের দিকে তাকিয়ে দেখেন—এক যুবতী মেয়ে একটি মড়ার আঙুল কামড়াচ্ছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখেন—তাঁদের বাড়ির পুত্রবধূ। কোনো কথা না বলে কামার বাড়ি এলেন ও গোপনে ছেলেকে ডেকে সব কথা বললেন। আরও বললেন, "এই মেয়ে পিশাচী, কোনোদিন আমাদেরও খেয়ে ফেলবে। পরদিন ওকে বাপের বাড়ি কেউগুঁড়িতে রেখে আয়।"

পরদিন একটু ভোরে বৌ নিয়ে ছেলে কেউগুঁড়ি যাচ্ছে। কিছুদূর গিয়ে যেখানে গাঁ শেষ হয়ে মাঠ—সেই মাঠের ধারে পথ, আলের পাশে একটা গর্তে একটি ব্যাঙ কটকট করে ডাকছে। বৌটা তার স্বামীকে বলল, "এই গর্তটা খুঁড়ো, অনেক টাকা পাবে।" বৌর কথামত মাঠের পাশে একটি বাড়ি হতে একটি কোদাল চেয়ে এনে গর্তটা খুঁড়ে দেখে—সত্যিই অনেক টাকা। বৌটা বলল, "আমি সাপ, ব্যাঙ, শিয়াল প্রভৃতির কথা বুঝতে পারি। গত সন্ধ্যায় নদীর ধারে একটি শিয়াল ডাকছিল ও বলছিল—একটি মরার গায়ে অনেক সোনার গয়না। গয়নাগুলো খুলে নাও, মরাটা খাব। তাই কাল অনেক সোনা পেয়েছি। তবে মড়ার হাতে ছিল একটি দামি আংটি, সেটা খুলতে পারছিলাম না, তাই দাঁত দিয়ে কেটে খুলতে হলো।"

সব শুনে ছেলেটা বাবার কথা বৌকে বলল ও কেউগুঁড়ি না গিয়ে বাড়ি ফিরল। বৌ টাকাগুলো আঁচলে ঢেকে খিড়কি পথ দিয়ে বাড়ি গেল, আর ছেলেটা সদর পথ দিয়ে চলতে লাগল। একা একা বৌ বাড়ি ফিরছে দেখে কামার মনে করলেন, 'পিশাচী পথে ছেলেটাকে খেয়েছে; এই বার আমাকে খাবে।' তাই একটি চেলা কাঠ দিয়ে বৌটার মাথায় মারলেন বাড়ি। কয়েক ঘা দিতেই বৌটা মরে গেল। ছেলে বাড়ি ফিরে সব দেখে কাঁদতে লাগল এবং বাবাকে সব কথা বলল। বাবা শুনে হায় হায় করতে লাগলেন।

ছদ্মবেশী কমলার প্রশ্ন: "কে দোষী? কামার, বৌ না কামার পুত্র?"

রাজকন্যা বললেন, "কামার দোষী।"

তিন প্রহর শেষে, যখন রাতের চার প্রহর শুরু হলো তখন ছদ্মবেশী কমলা আর একটি গল্প বললেন:

কুনুর নদীর ধারে বনের ভিতরে ছোট্ট একটি গ্রাম সিদিটি। একটি জাত সাপ, আর একটি বেজাত সাপ। বেজাত সাপটি খুব দুষ্ট। তারা জলাভাবে পিপাসায় মৃতপ্রায়। জাত সাপটি ভালো কিন্তু কয়দিন জল খেতে পায়নি। জাত সাপটা একটু ঘুরে বেশ সুস্থ। অজাত বলল, "তোমাকে বেশ সুস্থ দেখাচ্ছে, তুমি কি জল পেয়েছ?" জাত সাপ বলল, "হ্যাঁ পেয়েছি, তবে সেভাবে তুমি জল খেতে পারবে না। কারণ একটি শিশু এক বালতি জল নিয়ে অমুক স্থানে খেলা করছে। জল খেতে গেলে সে তোমাকে খেলাচ্ছলে মারবে, আর তোমার যা স্বভাব তুমি তাকে ছোবলাবে। ছেলেটি মারা যাবে। তাই তুমি জল খেতে পারবে না বা তোমাকে সন্ধানও দেব না।" মৃতপ্রায় সাপ অনেক প্রতিজ্ঞা করে বলল, "কিছুতেই ছোবলাব না।" অজাত শুধাল, "তোমাকে জল খেতে কয় ঘা মেরেছে?" জাত বলল, "পাঁচ ঘা।" অজাত বলল, "বেশ, এখন আমাকে বলে দাও।" জাত বেজাতকে পথ বলে দিল। বেজাত মনের আনন্দে জলপান করতে লাগল। শরীর তখন বেশ ভালো হয়েছে। ছেলেটা যেই পাঁচ ঘায়ের পর ছয় ঘা মেরেছে, অমনি অজাতের রাগ হয়ে গেল। সে মনে মনে বলল, 'জাতকে পাঁচ ঘা মেরেছে, আর আমাকে ছয়!' তাই সে ছেলেটিকে ছোবল মারল। ছেলেটি বিষের জ্বালায় মরে গেল। জাত জানতে পেরে অজাতকে খুব তিরস্কার করল। অজাত বলল, "আমাকে ছয় ঘা মেরেছে আর তোমাকে পাঁচ ঘা মেরেছে। তাই ছোবল দিয়েছি।"

ছদ্মবেশী কমলা প্রশ্ন করলেন, "দোষ কার? জাতের, অজাতের, না ছেলেটির?"

রাজকন্যা: "দোষ অজাতের।"

ছদ্মবেশী কমলা বললেন, "তাহলে চার প্রহরে চারবার কথা বলিয়েছি তোমাকে।"

রাজকন্যা পরাজয় স্বীকার করলেন। কথামত তাঁর সঙ্গে ছদ্মবেশী কমলার বিবাহ হবে। কমলা বললেন, "আগে সব রাজকুমারকে কারাগার হতে মুক্তি দাও।" তাই দেওয়া হলো। স্বামীকে দেখতে পেয়ে কমলা নিজের কাছে আনলেন। তারপর নিজের পরিচয় দিলেন। এই রাজকন্যার সাথে স্বামীর বিবাহও দিলেন।

রাজকন্যা তখন প্রশ্ন করলেন, "বলো, তুমি কীভাবে সতী ছিলে? কারণ আমার ভাইয়ের দিকে তুমি তাকিয়েছ, বিছানায় শুয়েছ ও হাতে পান দিয়েছ।"

কমলা উত্তর দিলেন: "সেদিন তাকিয়ে ছিলাম সূর্যের দিকে, তোমার ভাইয়ের দিকে নয়। বিছানায় শুয়ে ছিলাম তাকে পুত্র ভেবে, যে, ভগবান এমনি একটা পুত্র আমাকে দিয়ো। মা-ছেলের কাছে শোবে, তাতে কোনো বাধা নাই। আর পান দিয়েছি অতিথি ভেবে, হাত স্পর্শ না করে।"


এদিকে রাজপুত্রের পিতা মারা গিয়েছেন। তিনি হলেন রাজা, আর মন্ত্রীপুত্র হলেন মন্ত্রী। রাজা হয়ে রাজপুত্র ধরে আনলেন তাঁর ব্যভিচারিণী প্রথমা পত্নীকে ও মালীকে। তাদের মাথা কেটে রাখা হলো তেমাথা পথে। তাদের কৃতকর্মের জন্য লিখে দেওয়া হলো যে, তাদের মাথায় যেন লোকেরা লাথি মারে।

রাজপুত্র তাঁর দুই পত্নী (সতী কমলা ও ডাকিনী-সিদ্ধ রাজকন্যা) এবং মন্ত্রীপুত্রকে নিয়ে সুখে রাজত্ব করতে লাগলেন।

সদানন্দ গল্প শুনে গাড়ি নিয়ে চলতে লাগল।

[আমার দাদিমা (গুলনাহার বেগম, ভোলা জেলা) থেকে সংগ্রহ করা]

Post a Comment